বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ধরিয়ে দিলে১ লক্ষ্য টাকা পুরস্কার. পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী

বারবার দল বদল করা সেই পাল্টিবাজ মমতাজ এবার আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৮১ সময় দর্শন

আমি বারবার দল বদল করেছি আর দল বদল করতে চাই না। আওয়ামী লীগ দেশের সেরা রাজনৈতিক ও গণমুখী একটি দল। এখানে কাজ করার, জনসেবা করার অনেক সুযোগ। তাই আমি এই দলে বারবার ফিরে এসেছি। আপনারা দোয়া করবেন, আমি যেন আর দল বদল না করি। সামনে মহিষখোচা ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন। সেখানে আমি সভাপতি প্রার্থী। জেলা নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেন তাহলে আগামীতে এই ইউনিয়নে আ’লীগকে সুসংগঠিত করে আ’লীগকে শক্তিশালী করতে চাই। এভাবেই কথা গুলো বলছিলেন দলবদলের ওস্তাদ, পাল্টিবাজ লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ষাটোর্ধ্ব মমতাজ উদ্দিন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী।

মমতাজ উদ্দিন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া (সর্দারপাড়া) গ্রামের মৃত ছৈমুদ্দিনের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, দল বদলের জন্য মমতাজ উদ্দিনের খ্যাতি পুরো জেলা জুড়ে। এর আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে দুইবার করে যোগদান করেন। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনের আগে ফিরে আসেন আওয়ামী লীগে। ওই সময় তিনি বিএনপি ছেড়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের হাতে সোনার প্রলেপে মোড়ানো পিতলের নৌকা তুলে দিয়ে পুনরায় ফিরে আসেন আওয়ামী লীগে। এটা তার তৃতীয় দফা আওয়ামী লীগে যোগদান।

আ’লীগে যোগ দেয়ার পরপরই তিনি মহিষখোচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী দাবি করে বসেন। পরে তাকে প্রার্থীতা না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নৌকার বিদ্রোহী হয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরে যান। নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় রাগে ক্ষোভো বিএনপিতে যোগ দেয়ার জন্য চলে যান লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বাড়িতে। সেখানে তাকে সরাসরি বলে দেয়া হয় আপনি একটা পাল্টিবাজ মানুষ, এর আগেও আপনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে সার্থ হাসিল হওয়ার পর আ’লীগে চলে গেছেন। তাই আমাদের দলে আপনার মতো পাল্টিবাজ নীতিভ্রষ্ট মানুষের বিএনপিতে আর কোনদিন জায়গা হবে না।

তাই দিকবিদিক না পেয়ে টাকার জোড়ে পুনরায় তৃতীয়বারের আ’লীগে যোগ দেন। এলাকাবাসী আরো জানায়, বারবার দল বদল করা এই পাল্টিবাজ মমতাজকে যদি মহিষখোচা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে এখানে অনেক ভাল ভাল নেতাকর্মী আ’লীগের রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে অন্য দলে চলে যাবে। অনেকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়বে। এই পাল্টিবাজ মমতাজকে যেন এই ইউনিয়ন আ’লীগের এতোবড় দায়িত্ব দেয়া না হয় এজন্য তারা আ’লীগের জেলা নেতৃবৃন্দদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এর আগেও ২০১২ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির পদ না পেয়ে সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর হাতে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। সেবার খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে আবারও ফিরে আসেন। শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় ওই বছরই আসাদুল হাবিব দুলুর মাধ্যমে ফের বিএনপিতে যোগ দেন।

সর্বশেষ তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগে ফিরলেন এই পাল্টিবাজ মমতাজ উদ্দিন। স্থানীয়রা জানায়, মমতাজ উদ্দিন ২০১১ সালে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় পার্টির প্রয়াত সংসদ সদস্য মজিবর রহমানের হাত ধরে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে আসেন। ওই বছরেই তিনি জাতীয় পার্টি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তৃতীয়বার পাল্টিবাজ মমতাজ যখন আ’লীগে যোগ দেয় সেইদিন তিনি প্রায় ১৮ লাখ টাকা বখরচ করে ২০ হাজার লোকের ভূরিভোজ করে আ’লীগে যোগদান করেন। ওই সময় তিনি আদিতমারী উপজেলা ও জেলা শহরে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে সুদৃশ্য তোরণ নির্মাণ ও যোগদান অনুষ্ঠানের জন্য বিশাল প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করেন।

এই যোগদান অনুষ্ঠানের বিষয়টি গোটা জেলা জুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। এ বিষয়ে মমতাজ উদ্দিন বলেন,আমি বারবার দল বদল করেছি আর দল বদল করতে চাই না। আওয়ামী লীগ দেশের সেরা রাজনৈতিক ও গণমুখী একটি দল। এখানে কাজ করার, জনসেবা করার অনেক সুযোগ। তাই আমি এই দলে বারবার ফিরে এসেছি। আপনারা দোয়া করবেন, আমি যেন আর দল বদল না করি। আর মানুষকে খাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, যেহেতু মানুষকে খাওয়ানোর ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন তাই মহিষখোচা ইউনিয়নের মানুষসহ আশপাশের মানুষের জন্য সামান্য খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছি মাত্র।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71